Saturday, December 16, 2017

# এসো বিজয়ের গান গাই # উৎসর্গঃ শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার প্রতি।


মোঃ হারুন-উর-রশীদ (রুনা)
আজি এলো যে সে মাহেন্দ্রক্ষণ বিজয়ের শূভ লগ্ন,
সে স্বপ্নেরই ফুল লভিল বাঙ্গালী স্বাধীনতা আরব্ধ।
মহা ইতিহাস রচিল এ জাতি বিশ্বমাঝে যাহা বিরল,
পৃথিবী স্বাক্ষী শহীদী রক্ত যায়না কখনও তা বিফল!
ভায়ের রক্তে বোনের সম্ভ্রমে দেখিল বাঙ্গালী যে স্বপ্ন,
জেনো হে যোদ্ধারা কভু ছোট নয় জীবনের সেই গল্প।
দিয়ে গেলে দেশ স্বাধীন ভূমি আরো দিলে পতাকা,
রক্ত আখরে মাতৃ ভাষায় লিখিলে যে সে স্বাধীনতা।
শান্ত এ বাঙ্গালী কত যে কঠোর জানিত না দুর্বৃত্তরা,
কঠিন প্রত্যাঘাতে মানে পরাভব কুশীল সেই ভৃত্যরা।
খর্ব-কায় ঐ বাঙ্গালীরা যেন কামানের গুলি বোমা,
স্ফুলিঙসম জ্বলিয়া ছুটিল যে পাকি শত্রু দিশেহারা?
জয় বাংলা বিজয় ধ্বনীতে বিশ্ব ব্রহ্মান্ড যে কাঁপিল,
বীর বাঙালীর শীরা উপশীরায় রক্তের ধারা নাঁচিল!
পাকি পাষন্ডরা বানাল এ দেশকে মৃত্যুর উপত্যাকা,
সাগরে পড়িল রক্তের সে নদী শাখা আর উপ-শাখা!
রক্ত ছাঁপিয়ে অবশেষে উদিল স্বাধীনতা লাল সূর্য্য,
অবাক বিস্ময়ে দেখিল পৃথিবী বাঙালীর রণচাতুর্য!
পাকিরা বধিল মানুষ আর বাঙ্গালী বধিল পশুকে,
ওরা প্রাকৃত নিকৃষ্ট অতীব ঘৃনা করো ঐ জীবকে!
বাঙ্গালী কভু পরাভব মানেনা বিজয়ই ওদের প্রাপ্য,
দুনিয়ার মাঝে পাকিদের নাম যে অতিশয় অশ্রাব্য।
শ্লোগানে শ্লোগানে কাঁপিল ধরনী বাংলার স্বাধীনতা,
চিরতরে আজ মুক্ত বাঙালী মানবেনা যে অধীনতা?
৭-মার্চে বাঁজালো কে যেন সেই মুরলী মোহন বাঁশী,
বিসুভিয়াস হয়ে ছড়ালো সে সুর লাভার অগ্নি-রশ্মি!
বাঙ্গালীর রক্তে লাগিলো আগুন বিশ্বে ছড়িয়ে গেল,
বিশ্বমানবতার অনুবেদন আর মমতা বাঙ্গালী পেল।
বাঙলার বুকে পড়িলো ঝাপিয়ে পশ্চিমা কুলাঙ্গার,
সবুজ বাংলা করিল যে বিরান পাঞ্জাবী রাজাকার!
যুবা-কিশোর দিলো বুকের রক্ত নারী দিলো সম্ভ্রম,
প্রতিরোধে প্রতিশোধে দেখাল বাঙ্গালী ওদের যম?
মুক্তি-পাগল ক্ষেপা বাঙ্গালী করে হহন জানোয়ার,
ছিনিয়ে আনিলো মুক্তির মার্তন্ড ষোল-ই ডিসেম্বর!
চির ভাস্বর এ বাঙালী মরেনা এ বিশ্ব যাহা দেখিল
যুদ্ধ ও বিপ্লব কাহাকেই বলে এ চরাচর তা শিখিল
কিয়ামততক ফিরে ফিরে আসুক বিজয়ী শূভ ক্ষণ,
শ্রদ্ধা ও সালামে সিক্ত করহ শহীদদের বিদেহী মন?
তোমাদের স্মরি তোমাদের বরি হে বীর মুক্তি যোদ্ধা,
বিজয় দিবসে ফিরে ফিরে এস পাইতে জাতির শ্রদ্ধা!

শেয়ার করুন

0 comments: