Showing posts with label কবিতা. Show all posts
Showing posts with label কবিতা. Show all posts

Friday, September 7, 2018

 কত রং কত ঢংয়ে

কত রং কত ঢংয়ে


 শিফাত আহমেদ খান

কত রং কত ঢংয়ে
কত জন কত মজে
কত রং এঁকে বেঁকে
কত জন ছবি আঁকে!

শত কথা শত ভাবে
শত বার মরে বাঁচে
শত আশা শত ভাষা
শত বার ছন্দ তোলে!

Saturday, December 16, 2017

  অন্তিম আকুতি  উৎসর্গঃ মোঃ কামরুজ্জামান।

অন্তিম আকুতি উৎসর্গঃ মোঃ কামরুজ্জামান।


 মোঃ হারুন-উর-রশীদ (রুনা) 
হৃদয় উৎসারিত করা শুনি সেই যে বাণী,
সব কিছু ছেড়ে যে গো চলে যাবো আমি।
তৃণখানি আকড়ে ধরি ছেড়োনা আমায়,
ডাকে কেযে এসো ফিরে নিজ ঠিকানায়!
আহা! কত পরমাকৃতির এ বিশ্ব আমার,
বলে সময় হলো যে তব চলিয়া যাবার।
তুমি তল্পাতল্পি গুছাও বাঁধো হে লটবহর,
নিষ্ঠুর ভাষায় বলিছে যে মোর অধীশ্বর!
এই তো এলাম সেদিন এত কি যে ত্বরা,
সময় কি দেবেনা হে নিষ্ঠুর প্রমিতাক্ষরা?
এমাটির বুকেতে মোরে থাকিবারে দাও,
ভুঁজা করিতে দাও মোর অতঃপর নাও।
তোমারে ছাড়িতে মোর নাই জিগমিষা,
আসুকনা তোমা ক্রোড়ে যত অমানিশা?
এত নিষ্করূণ হয়ো না গো মোর পৃথিবী,
কর মোরে তোমারই এ বুকে দীর্ঘজীবী।
কত স্নেহে ভালবাসায় করিলে পোষণ,
এখনই কেন বলো মাগো করিতে গমন?
স্বর্গের সম হে মা গো তুমি মোর জননী,
মোর সে আকুতি কি গো তুমি শোননি?
আরিন্দা আসিয়াছে দ্বারে এ কার চিঠি?
আশার প্রদীপ এখনও জ্বলে মিটিমিটি!
লেফাফা উন্মোচি তাই পড়ি কোটি বার,
হায়!নিষ্ঠুর ভাষায় লেখা চলিয়া যাবার!
দিলো না সময়ই মোরে নিঠুর এ পৃথিবী,
রহিল না কারো কাছে মোর কোন দাবী।
বিদায় বন্ধু-সখা করি যে হে প্রত্যাগমন,
আর ফিরে আসিব না, হবেনা আগমন!
জানি নিষ্ঠুর পৃথিবীতেই কেহ কারো নয়,
জেনো এক দিন জীবনের হবে পরাজয়!
ভুলিবে যে প্রেয়সী-সখা রাখিবে না মনে,
আহা! মিশিয়া যাইব আমি মৃত্তিকা সনে!
ক্ষমিও সকলে মোরে অপ্রবৃত্তি অপরাধ,
মোর মনে না জাগে যেন বাঁচিবার সাধ!
আঁধার ঘনিয়ে এলো আমারই এ ভূবনে,
ফিরিয়া চলেছি যে গো তারই আহ্বানে!
 ওদেরকে বাঁচতে দাও  উৎসর্গঃ শাহীন সুলতানা শান্তা।

ওদেরকে বাঁচতে দাও উৎসর্গঃ শাহীন সুলতানা শান্তা।


মোঃ হারুন-উর-রশীদ (রুনা)
হে সভ্যতা ওদেরকে তুমি চিনো?
ওরা মানুষ,ওদেরকে বাঁচতে দাও।
হে মানবতা তুমি ঘুমিয়ে কেন?
ওদেরকে তুমি মানবতা দেখাও।
হে অন্নদাতা ওরা নিরন্ন কেন?
স্বীয়গুদাম হতে ওদের অন্ন দাও।
হে শালীনতা ওরা বে-আব্রু কেন?
নীজ অঙ্গ থেকে ওদের বস্ত্র দাও।
হে ক্ষেত্রপতি ওরা ভূমিহীন কেন?
ওদেরকে মাথা গোঁজার ঠাই দাও।
হে অধিপতি ওরা কর দেবে কেন?
ওদের ভূমি লাখেরাজ করে দাও।
হে ক্রোড় পতি ওরা নিঃশ্ব কেন?
অলস অর্থ থেকে ওদের অর্থ দাও।
হে ক্ষৌণিশ ওরা রাজ্যহীন কেন?
ওদেরে তুমি রাজাধিরাজ বানাও।
হে ব্রহ্মান্ড তুমি হৃদয়হীন কেন?
শস্য-শ্যামলতা দিয়ে ওদের বাঁচাও।
হে অছি অপঘাতে ওরা মরে কেন?
মৃত্যু থেকে তুমি ওদেরে মুক্তি দাও।
-সবিশেষ আহ্বান-
হে বিশ্বাধিপতি ওরা তো নিস্পাপ!
ওদেরকে স্বর্গের বাসিন্দা বানাও।

 উড়াও লাল সবুজের পতাকা  উৎসর্গঃ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার প্রতি।

উড়াও লাল সবুজের পতাকা উৎসর্গঃ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার প্রতি।


মোঃ হারুন-উর-রশীদ (রুনা)
করো হে উড্ডীন বিশ্বেরই দিকবিদিক
লাল-সবুজের পতাকা,
ছড়াও এ বিশ্বে বাঙ্গালীর ইতিহাসের
বল-বীর্য্যের কথকতা।
তোলো ঝংকার দাও হুংকার জানাও
বাঙ্গালীর সু-ইতিহাস,
খোলো তলোয়ার পালাক জানোয়ার
উঠুক ওরই মৃত্যুশ্বাস।
দাও কোরবান পাকি জানদান নাও
রক্তের ঐ প্রতিশোধ,
ভেঙ্গে মেরুদন্ড আঘাত প্রচন্ড হেনেই
কর ওদের প্রতিরোধ।
ছিড়ো জিঞ্জির সব বন্দীর মুক্ত করো
আজ ঐ তাহাদের,
শোষন বঞ্চনা আজও ছাড়ছেনা অস্থি
সার দেহ যাহাদের।
খোল আমামা বাজাও দামামা সাজো
সাজে সেই যুদ্ধের,
করো হত্যা ওহে ও যোদ্ধা হয়োনা তুমি
মড়া লাশ ঐ বৃদ্ধের।
উড়াও নিশান বাঁজাও হে বিষান রুখো
শত্রুর ঐ আস্ফলন!
ডাকে মৃত্যু কর নৃত্য খেল হোলী শত্রুর
রক্তে লড়ো মহারণ!
ওরা মেরেছে, সম্ভ্রম কেড়েছে বাঙালী
মা আর বোনেদের,
ওদেরকে কবর দাও মৃত্যু ফরমাও দৃঢ়
শপথ হোক জীবনের।
ওরা বর্বর ওরা জানোয়ার ওদের পাপী
রক্তেই নাচে ইবলীশ,
ওদের নিঃশ্বাস যেন অভিশাপ কেউটেরা
উদ্ধত তোলে শীষ!
ওরা নির্বংশ,হোক ধ্বংস ওরা সভ্যতা ও
বিশ্বেরই যত জঞ্জাল,
সরাও আবর্জনা পাকি পচাঁ-পানা ওরা
সত্যের মহা অপলাপ।
ওরা গো-ভাগাড়ের গলিত পূঁতিগন্ধময়
পচাঁ উচ্ছিষ্ট অপবিত্র,
ওদের জাতিসত্তা মুছে ফেলে আজিকে
শোধিব বিশ্ব মানচিত্র।
ওরা নরকের কীট মহাপাতকী ওদেরকে
নিক্ষেপ কর নরকেই,
ওটাই হোক ওদের আবাসন অনন্ত কাল
জ্বলুক ঐ দোজখেই! 
# এসো বিজয়ের গান গাই # উৎসর্গঃ শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার প্রতি।

# এসো বিজয়ের গান গাই # উৎসর্গঃ শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার প্রতি।


মোঃ হারুন-উর-রশীদ (রুনা)
আজি এলো যে সে মাহেন্দ্রক্ষণ বিজয়ের শূভ লগ্ন,
সে স্বপ্নেরই ফুল লভিল বাঙ্গালী স্বাধীনতা আরব্ধ।
মহা ইতিহাস রচিল এ জাতি বিশ্বমাঝে যাহা বিরল,
পৃথিবী স্বাক্ষী শহীদী রক্ত যায়না কখনও তা বিফল!
ভায়ের রক্তে বোনের সম্ভ্রমে দেখিল বাঙ্গালী যে স্বপ্ন,
জেনো হে যোদ্ধারা কভু ছোট নয় জীবনের সেই গল্প।
দিয়ে গেলে দেশ স্বাধীন ভূমি আরো দিলে পতাকা,
রক্ত আখরে মাতৃ ভাষায় লিখিলে যে সে স্বাধীনতা।
শান্ত এ বাঙ্গালী কত যে কঠোর জানিত না দুর্বৃত্তরা,
কঠিন প্রত্যাঘাতে মানে পরাভব কুশীল সেই ভৃত্যরা।
খর্ব-কায় ঐ বাঙ্গালীরা যেন কামানের গুলি বোমা,
স্ফুলিঙসম জ্বলিয়া ছুটিল যে পাকি শত্রু দিশেহারা?
জয় বাংলা বিজয় ধ্বনীতে বিশ্ব ব্রহ্মান্ড যে কাঁপিল,
বীর বাঙালীর শীরা উপশীরায় রক্তের ধারা নাঁচিল!
পাকি পাষন্ডরা বানাল এ দেশকে মৃত্যুর উপত্যাকা,
সাগরে পড়িল রক্তের সে নদী শাখা আর উপ-শাখা!
রক্ত ছাঁপিয়ে অবশেষে উদিল স্বাধীনতা লাল সূর্য্য,
অবাক বিস্ময়ে দেখিল পৃথিবী বাঙালীর রণচাতুর্য!
পাকিরা বধিল মানুষ আর বাঙ্গালী বধিল পশুকে,
ওরা প্রাকৃত নিকৃষ্ট অতীব ঘৃনা করো ঐ জীবকে!
বাঙ্গালী কভু পরাভব মানেনা বিজয়ই ওদের প্রাপ্য,
দুনিয়ার মাঝে পাকিদের নাম যে অতিশয় অশ্রাব্য।
শ্লোগানে শ্লোগানে কাঁপিল ধরনী বাংলার স্বাধীনতা,
চিরতরে আজ মুক্ত বাঙালী মানবেনা যে অধীনতা?
৭-মার্চে বাঁজালো কে যেন সেই মুরলী মোহন বাঁশী,
বিসুভিয়াস হয়ে ছড়ালো সে সুর লাভার অগ্নি-রশ্মি!
বাঙ্গালীর রক্তে লাগিলো আগুন বিশ্বে ছড়িয়ে গেল,
বিশ্বমানবতার অনুবেদন আর মমতা বাঙ্গালী পেল।
বাঙলার বুকে পড়িলো ঝাপিয়ে পশ্চিমা কুলাঙ্গার,
সবুজ বাংলা করিল যে বিরান পাঞ্জাবী রাজাকার!
যুবা-কিশোর দিলো বুকের রক্ত নারী দিলো সম্ভ্রম,
প্রতিরোধে প্রতিশোধে দেখাল বাঙ্গালী ওদের যম?
মুক্তি-পাগল ক্ষেপা বাঙ্গালী করে হহন জানোয়ার,
ছিনিয়ে আনিলো মুক্তির মার্তন্ড ষোল-ই ডিসেম্বর!
চির ভাস্বর এ বাঙালী মরেনা এ বিশ্ব যাহা দেখিল
যুদ্ধ ও বিপ্লব কাহাকেই বলে এ চরাচর তা শিখিল
কিয়ামততক ফিরে ফিরে আসুক বিজয়ী শূভ ক্ষণ,
শ্রদ্ধা ও সালামে সিক্ত করহ শহীদদের বিদেহী মন?
তোমাদের স্মরি তোমাদের বরি হে বীর মুক্তি যোদ্ধা,
বিজয় দিবসে ফিরে ফিরে এস পাইতে জাতির শ্রদ্ধা!

Wednesday, December 13, 2017

"না ডাক্তার, না ডিপ্লোমা, না প্যারামেডিক্স!"

"না ডাক্তার, না ডিপ্লোমা, না প্যারামেডিক্স!"

কিছুদিন আগে কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত সিএইচসিপিদের সরিয়ে কাদের যেনো নিয়োগ দেওয়ার আওয়াজ (অযুক্তিক দাবী) শোনা গিয়েছিলো। ওরা কারা? ওরা কী ডাক্তার? না ডিপ্লোমা, না প্যারামেডিক্স? তারা যারাই হোক, তাদের সরাসরি ঐ ভিত্তিহীন, হীনকর ও অন্যায় দাবী কেউ পাত্তা না দেওয়ার দরুণ কালেরকন্ঠের এই রিপোর্ট। আমার ধারণা এই রিপোর্ট তারাই করিয়েছেন। আমি বিশ্বাস করি বর্তমান সময়ের কিছু সাংবাদিক এর সাথে বাম হাত মিলিয়ে যেকোনো রিপোর্ট'ই করা যায়। পত্রিকা জুড়ে যতসব মিথ্যে কথা লিখে রাখে। একজন শিক্ষিত কাল্পনিক চরিত্র সোলেমান এর বিপরীতে হাজারো কলিম উদ্দিন, জসিম উদ্দিন, মীর কাশেম, এর বাস্তব দৃশ্য দেখানো যায়। শোনানো যায় হাজার হাজার অসহায় দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর গল্প। ভোগতেরা সিসি সহ আরো আরো অনেক কমিউনিটি ক্লিনিক যেখানে প্রতি মাসেই নরমাল ডেলিভারী সহ অক্লান্ত পরিশ্রম করে যায়, জাতীয় পত্রিকা ছাপায় না সেইসব প্রাপ্তির কথা।
বিশ্বের রোল মডেল স্বাস্থ্য খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার প্রতিষ্ঠান তিলে তিলে কর্মকর্তা, কর্মচারী ও সিএইচসিপি দের প্রচেষ্টায় যখন সাফল্যের উচ্চতা ছোঁবে তখন'ই কিছু লোভী - দুস্কৃতিকারি ও ষড়যন্ত্রকারি মহল উঠেপড়ে লেগে যায় কমিউনিটি ক্লিনিকের সুনাম ক্ষুন্ন করতে। এক এর পর এক চক্রান্তের নীল নকশার বর্শা ছুড়ে মারছে। এখনই এর প্রতিবাদ জরুরী। এসোসিয়েশন এর ও কিছু দায়বদ্ধতা থাকে, আমরা জানি না এই মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে এসোসিয়েশন কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অতীদ্রুত গঠনমূলক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা দরকার। দেশের মানুষকে এই চক্র ক্রমেই বিভ্রান্ত করে চলছে। তদন্তের মাধ্যমে তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা জরুরী মনে করছি।

Monday, December 11, 2017