Showing posts with label শিক্ষা. Show all posts
Showing posts with label শিক্ষা. Show all posts

Thursday, August 1, 2019

ঝিনাইদহের মানুষ কে ডেঙ্গু জ্বর থেকে নিরাপদ রাখতে মশক নিধন ওষুধ দেওয়া হলো

ঝিনাইদহের মানুষ কে ডেঙ্গু জ্বর থেকে নিরাপদ রাখতে মশক নিধন ওষুধ দেওয়া হলো


মানুষের সেবায় সর্বদা নিয়োজিত ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জনাব কনক কান্তি দাস , জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা'র উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে, দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন তিনি, তারই ধারাবাহিকতায় ঝিনাইদহের মানুষ কে ডেঙ্গু জ্বর থেকে নিরাপদ রাখতে, মশা নিধন কার্যক্রম শুরু করেছে ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জনাব  কনক কান্তি দাস মহোদয়ের উদ্যোগে ও নির্দেশে  চেয়ারম্যান মহোদয় বলেছেন এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।
ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাসের নির্দেশে আজ ঝিনাইদহ পৌর এলাকার ৩ এবং ৪নং ওয়ার্ডের মশক নিধন ওষুধ দেওয়া হলো।বাড়ি বাড়ি এ অভিযান পরিচালনা করা হয় এবং প্রতিদিন এ অভিযান অব্যহত থাকবে বলে জানিয়েছেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাস। এই অভিযান পরিচালনা করেন মধু বিশ্বাস,
রাজু আহমেদ মিজান, পলাশ বিশ্বাস, মামুন, মাদার তেরেসা ব্লাডব্যাংকের সাঃ সম্পাদক তারেক মাহামুদ জয়সহ আরো অনেকে।আপামর জনগনের দাবি সবখানেই ঔষুধ দেওয়াসহ,ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার দ্বায়িত্ব কাঁধে তুলে নিলো স্ব স্ব এলাকার জনপ্রতিনিধিগন।
ডেঙ্গু মশা নিধনে মাঠে নামলেন ঝিনাইদহের মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু

ডেঙ্গু মশা নিধনে মাঠে নামলেন ঝিনাইদহের মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু


ঝিনাইদহ পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে মশক নিধনে নিজেই মাঠে নামলেন পৌর মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সকাল থেকেই ঝিনাইদহ পৌর মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু মশা নিধন ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন অভিযানে পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে নিজেই মাঠে নেমে পড়েন।
সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বর প্রকট আকার ধারণ করায় পৌর মেয়র পৌরবাসীর সেবাদানের উদ্দেশ্যে সকাল থেকে নিজেই কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন অভিযান ও মশক নিধন অভিযানে নেমে পড়েন। এ সময় তিনি বিভিন্ন ওয়ার্ডের ড্রেন, নর্দমায় মশার ওষুধ স্প্রে করেন এবং কর্মচারীদের সাথে বিভিন্ন পরিচ্ছন্ন অভিযানে অংশগ্রহণ করেন।
পৌর মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু সাংবাদিকদের বলেন, পৌরবাসীর সেবা করার জন্য সব সময় তাদের পাশে আছি এবং থাকবো। তিনি বলেন মশক নিধন এবং ডেঙ্গু মশা নিধনে ঝিনাইদহ পৌরসভার মশক নিধন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরো বলেন, আমি ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে প্রায় প্রতি মাসেই মশা নিধনে বিভিন্ন নর্দমা ড্রেন ও পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে মশার ঔষধ স্প্রে করে থাকি। এখন যেহেতু দেশে ডেঙ্গু মশা প্রকট আকার ধারণ করেছে এবং ডেঙ্গু জ্বর থেকে পৌরবাসীকে রক্ষা করতে আমি নিজেই মাঠে মশার ওষুধ স্প্রে করছি পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে জমে থাকা পানি ও ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করছি

Saturday, July 27, 2019

ডেঙ্গু নিরাময়ের ওষুধ পেঁপে পাতা দিয়ে তৈরি করুন

ডেঙ্গু নিরাময়ের ওষুধ পেঁপে পাতা দিয়ে তৈরি করুন


অনেক জায়গায় লেখা আছে যে পেপের পাতা রস করে খেলে ডেঙ্গু সেরে যায় এটা কতটুকু সত্য আমরা জানি না তবে বিশেষজ্ঞরা বলেছে যে এটি একটি গুজব। অনেক অনলাইন নিউজ এইগুলোর লেখা আছে তা নিচে দেওয়া হল।

ডেঙ্গু বর্তমানে মহামারি ধারণ করেছে। এ বছর দেখা যাচ্ছে ডেঙ্গুর লক্ষণ অন্য রকম, ডেঙ্গু জ্বরের স্বাভাবিক যেসব লক্ষণ থাকে, সেগুলো এ বছর অনেক রোগীর মাঝেই পাওয়া যাচ্ছে না। সাধারণত ডেঙ্গু জ্বর হলে রোগীর প্রচণ্ড জ্বর (১০৩ থেকে ১০৬ ডিগ্রি), শরীর এবং গিরায় গিরায় ব্যথা, যাকে বলে হাড়ভাঙা জ্বর বা ব্রেকবোন ফিভার, চার থেকে পাঁচ দিন পরে জ্বর কমে যায় এবং গায়ে র্যাশ ওঠে।
এই সময় জ্বর কমে যাওয়ার পরপরই রক্তের প্লাটিলেট কমে যায় ও রক্তরক্ষণের ঝুঁকি থাকে। আর বর্তমানে ডেঙ্গু জ্বরের ধরন পালটে যাওয়ার কারণে দেখা যায়, জ্বর অল্প অল্প থাকে, শরীরে তেমন ব্যথাও হয় না, এমনকি অধিকাংশ রোগীর গায়ে র্যাশও হচ্ছে না। আবার এমনও দেখা যায়, জ্বর হওয়ার দুই থেকে তিন দিন পরই প্লাটিলেট কমে যাচ্ছে, আর এতে রক্তক্ষরণের ঝুঁকিও বেড়ে যাচ্ছে। এ কারণে রোগীরা বুঝে উঠার আগেই প্লাটিলেট কমে রক্তক্ষরণ এবং ডেঙ্গু শক সিনড্রোমে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন।

ডেঙ্গু নিরাময়ে পেঁপে পাতার গবেষণা
ডেঙ্গু কারণে রক্তের প্লাটিলেটগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় অর্থাৎ প্লাটিলেটের সংখ্যা কমে যায়। ২০১১ সালে পাবমেড(PubMed) জার্নালে প্রকাশিত (Asian Pac J Trop Biomed, 2011 Aug) গবেষণায় উল্লেখ করা হয় যে পেঁপে পাতার রসে প্লাটিলেট উৎপাদনে সাহায্যকারী উপাদান রয়েছে। পেঁপে পাতায় থাকে প্রচুর পরিমানে কমপ্লেক্স ভিটামিন যা প্রচুর পরিমাণে প্লাটিলেটের উৎপাদনে সাহায্য করে। পাতার নির্যাস জীবানু বহনকারী মশার লার্ভা ধংস করে। রস সেবনে প্লাটিলেটের সংখ্যা প্রথম দিনেই বৃদ্ধি পেয়ে দ্বিগুন হয়ে যায় এবং ৫দিনেই প্লাটিলেটের সংখ্যা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।পেঁপে পাতার রস সেবনে দেহে প্লাটিলেটের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পায় যা অল্পসময়ে দেহের ব্যথাও ফুলা ভাব নিরাময় করে।

ডেঙ্গু নিরাময়ের জন্য পেঁপে পাতার রস কীভাবে তৈরি করবেন
১. পেঁপে পাতার রস বানানোর জন্য কচি পেঁপে পাতা ধুয়ে তা ছাড়িয়ে নিতে হবে শিরা থেকে।
২. তারপর তা পিষে রস বের করতে হবে।
৩. ২৫ মিলিলিটার বা ৫ চা চামুচ পাতার রস এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে প্রতিদিন দুই বেলা ( সকালে ও সন্ধ্যায়) দুই চামচ করে পান করতে হবে
এভাবে ৫ দিন খেতে হবে, এতে রোগীর আশানুরুপ উন্নতি না হয়, তবে পরবর্তী সপ্তাহ র্পযন্ত খেতে হবে।

সবশেষে
ডেঙ্গুর কোনো ভ্যাকসিন নেই। যেহেতু ডেঙ্গু ভাইরাস চার টাইপের, তাই এই চারটি ভাইরাসের প্রতিরোধে কাজ করে, এমন ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হয়নি। তাই ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের মূলমন্ত্রই হলো—অ্যাডিস মশার বিস্তার রোধ এবং এই মশা যেন কামড়াতে না পারে, তার ব্যবস্থা করা। মনে রাখতে হবে এডিস মশা অভিজাত এলাকায় বড়ো বড়ো সুন্দর সুন্দর দালান কোঠায় এরা বাস করে। স্বচ্ছ পরিষ্কার পানিতে এই মশা ডিম পাড়ে। ময়লা, দুর্গন্ধযুক্ত ড্রেনের পানি এদের পছন্দসই নয়। তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধে অ্যাডিস মশার ডিম পাড়ার উপযোগী স্থানগুলোকে পরিষ্কার রাখতে হবে এবং একইসঙ্গে মশক নিধনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এই রোগ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হলো—ব্যক্তিগত সতর্কতা এবং অ্যাডিস মশা প্রতিরোধ।

টাই ডেঙ্গু জ্বর হলে ভালো বিশেষজ্ঞদের দেখানো উচিত এই গুলো থেকে বিরত থাকার জন্য আমরা আপনাদের অনুরোধ রইল।

Monday, June 10, 2019

আগামী ৪ঠা নভেম্বর, ২০১৭ রোজ শনিবার বিকাল ৩ টায় নিমনের খেলা ও পুরুস্কার বিতরনি অনুষ্ঠান এবং খেলা শেষে সাংস্কৃতিক

আগামী ৪ঠা নভেম্বর, ২০১৭ রোজ শনিবার বিকাল ৩ টায় নিমনের খেলা ও পুরুস্কার বিতরনি অনুষ্ঠান এবং খেলা শেষে সাংস্কৃতিক


অতি আনান্দর সাথে জানাচ্ছি যে,

আগামী ৪ঠা নভেম্বর, ২০১৭ রোজ শনিবার বিকাল ৩ টায়  নিমনের খেলা ও পুরুস্কার বিতরনি অনুষ্ঠান এবং খেলা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি দর্শকদের ঘরে বসে ঝিনাইদহ নিযেষ্য ক্যাবল চেনেলে  টিভিতে দেখতে পারবেন।
আর এই অনুষ্ঠানটি ডিসের মাধ্যমে দেখানোর জন্য ঝিনাইদহ জেলা ক্যাবল অপারেটর এবং জনাব সাইদুল করিম মিন্টু ভাই সাধারন সম্পাদক ঝিনাইদহ জেলাকে হরিশংকরপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে শুভেেচ্ছা ও অভিনন্দন।

১০ নং হরিশংকরপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আয়জোনে বাকড়ী মাঠে "শহীদ ছানার উদ্দীন স্মৃতি" ফুটবল টুর্নামেন্টের পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
 উক্ত খেলার শুভ উদ্ভোদন করবে জনাব শহিদুল ইসলাম হিরণ চেয়ারম্যান ৯ নং পোড়াহাটি ইউপি।

প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন ঝিনাইদহ-২ আসনের মাননীয় সাংসদ জনাব তাহ্জীব আলম সিদ্দিকী সমি।

প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত থাকবেন আমার রাজনৈতিক গুরু জেলা আ'লীগের সাধারন সম্পাদক, আধুনিক ঝিনাইদহের রূপকার, পৌরপিতা জনাব সাইদুল করিম মিন্টু।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন ১১ নং পদ্মাকর ইউনিয়ন আ'লীগ সভাপতি ও সাবেক চ্যেয়ারম্যান বাবু বিকাশ বিশ্বাস, ১২ নং দোগাছি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান ফয়েজউল্লা ফয়েজ, ১৬ নং সুরাট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ও চেয়ারম্যান কবির হোসেন জদ্দার কেবি সহ অন্যেরা।

উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেনঃ জনাব খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদ সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান ১০ নং হরিশংকরপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ।

আপনারা সকলে আমন্ত্রিত।

Thursday, February 7, 2019

নকলের অভিযোগে ১৪ শিক্ষার্থী ও ৪ শিক্ষককে বহিষ্কার ঝিনাইদহ আলিয়া মাদ্রাসায়

নকলের অভিযোগে ১৪ শিক্ষার্থী ও ৪ শিক্ষককে বহিষ্কার ঝিনাইদহ আলিয়া মাদ্রাসায়


ঝিনাইদহ প্রতিনিধি।। শহরের সিদ্দিকীয়া আলিয়া কামিল মাদ্রাসা পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে এসএসসি দাখিল গণিত পরীক্ষা চলাকালে অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে ১৪ শিক্ষার্থী ও ৪ শিক্ষককে বাহিষ্কার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে তাদের বহিষ্কার করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাফর সাদিক চৌধুরী। বহিষ্কৃতরা শিক্ষকরা হল, সিদ্দিকীয়া আলিয়া কামিল মাদ্রাসার শিক্ষক রেজাউল ইসলাম ও শামসুন্নাহার এবং জেলা সদরের বাড়িবাথান মাদ্রাসার শিক্ষক মাসুদুর রহমান, কানুহরপুর দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক আবু তালেব।

 এছাড়াও জেলার ভূটিয়ারগাতী মাদ্রাসা, উত্তরকাস্ট সাগরা মাদ্রাসা, বাড়িবাথান মাদ্রাসা, ঘোড়শাল মাদ্রাসা, হাটগোপালপুর মাদ্রাসা, নুরনগর মাদ্রাসা, আড়মুখ মাদ্রাসা ও পঞ্চগ্রাম মাদ্রাসার ১৪ শিক্ষার্থী রয়েছে।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাফর সাদিক চৌধুরী জানান, পরীক্ষা পরিদর্শন কালে দেখা যায় সিদ্দিকীয়া আলিয়া কামিল মাদ্রাস কেন্দ্রের বিভিন্ন কক্ষে অনিয়ম চলছে। কোথাও শিক্ষার্থীরা সেট কোড পরিবর্তন করে দিচ্ছে, কোন কোন কক্ষে একে অন্যের এমসিকিউ প্রশ্নের সমাধান করে দিচ্ছে, কোথায় কক্ষ পরিবর্তণ করে পরীক্ষা দিচ্ছে। তাদের এ কাজে সহযোগীতা করছে কতিপয় শিক্ষক।

 বিষয়টি তদন্ত করে জড়িত থাকার দায়ে ১৪ শিক্ষার্থী ও ৪ শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা বাকি পরীক্ষাগুলোতে অংশ নিতে পারবে না এবং শিক্ষকরাও দাখিল পরীক্ষায় দায়িত্ব পালন করতে পারবে না বলে ম্যাজিস্ট্রেট জাফর সাদিক চৌধুরী জানান।

Saturday, February 2, 2019

প্রধান শিক্ষকদের ১০ গ্রেড এবং সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড দেওয়া হবে। 

প্রধান শিক্ষকদের ১০ গ্রেড এবং সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড দেওয়া হবে। 


সকল সরকারি প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষকরা ১১ গ্রেডে বেতন পাবেন বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।০১/০২/২০১৯ শুক্রবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষক পরিষদ’ আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষকদের  কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনকে সংবর্ধনা দেয় বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষক পরিষদ।

প্রধান শিক্ষকদের সম্মানের সঙ্গে পদ ফেরত দেওয়াসহ ১০ দফ দাবি জানান।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাধারণ সম্পাদক এস এম আব্দুল গফুর নতুন সরকারি হওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য দূর করা,
সুনির্দিষ্ট দাবির বিষয়ে গণশিক্ষা আপনারা শিক্ষক, আপনাদের সুযোগ-সুবিধা দেখা হবে। প্রধান শিক্ষকদের ১০ গ্রেড এবং সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড দেওয়া হবে। আর  যেসব দাবি আপনারা করেছেন, তা সবই পর্যায়ক্রমে পূরণ করা হবে। আপনারা প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করেন এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী বলেন,
 অতিরিক্ত সচিব ড. তরুণ কান্তি শিকদার বলেন, ‘সরকার শিক্ষকদের মান উন্নয়নে কাজ করছে।’ তিনি জানান, সরকার এরইমধ্যে নতুন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। প্রাথমিক শিক্ষকরা দেশের বাইরে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ পাবেন বলেও জানান তিনি।

যে সকল নতুন সরকারি হওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১০ দফা দাবির বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাথমিক শিক্ষকদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করেছেন, এখন জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য কাজ করছেন। আগে বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি করেছেন, এরপর করেছেন জাতির জনকের কন্যা, আর কেউ করবে না। আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বসে আপনাদের সমস্যার সমাধান করবো। সমস্যা থাকবে না।’

Wednesday, September 26, 2018

আমরা একটানা আড়াই ঘন্টা ক্লাস নেই

আমরা একটানা আড়াই ঘন্টা ক্লাস নেই


শফিকুল আলম।। প্রাক- প্রাথমিক শিক্ষকদের ব্লক টিচিং এবং বদলি সংক্রান্ত বিষয়ে গতকাল জনাব ইন্দু ভূষন (ডিডি)স্যার এবং অধিদপ্তরের জনাব ফিরোজ কবির(এডিপিও)স্যারের সাথে সাক্ষাত এবং আলোচনা।
স্যারদের কে বিনয়ের সাথে জিজ্ঞেস করলাম স্যার আমরা যারা প্রাক প্রাথমিকের সহকারি শিক্ষক তারা অনেক ধরনের সমস্যার মধ্যে আছি, স্যার জিজ্ঞেস করলেন কেমন?
আমি বললাম স্যার আমাদের কোন বদলি নেই, আমরা একটানা আড়াই ঘন্টা ক্লাস নেই,ব্লক টিচিং এবং কোন কোন ক্ষেএে আমরা চরম বৈষম্যের শিকার।
এডিপিও এবং ডিডি স্যারের একই উত্তর আপনারা যারা প্রাক -প্রাথমিকের শিক্ষক নীতিমালা অনুযায়ি তারা মিউচাল হতে পারবেন, আর যে পর্যন্ত একই স্কুলে প্রাকের একাধিক শিক্ষক না আসছে সে পর্যন্ত এভাবেই হয়তো থাকা লাগবে তবে নীতিমালা পরিবর্তন করার চেষ্টা চলছে। আর এখন তো সকল টিচারদেরই বদলি জনিত সমস্যা রয়েই গেছে।
অধিদপ্তরের আরেকজন পরিচালক স্যারকে জিজ্ঞেস করেছিলাম স্যার আমরা যারা পিডিপি-৩ তে ছিলাম তারা কি রাজস্বতে চলে আসছি কি না স্যার বললো অবস্যই যদি তাই হয় তাহলে আমরা যারা ঢাকার প্রাক -প্রাথমিকের শিক্ষক আছি তারা এখনও কেন আগষ্ট মাসের বেতন পাইনি? যেখানে অধিদপ্তর হতে রাজস্বে চলে যাওয়ার চিঠি ইস্যু করার পরে ঢাকার বাহিরের শিক্ষকরা আগষ্ট মাসের বেতন পেয়েছে বাট আমারা পাই নি ঢাকার এজি অফিস বলছে অর্থ মন্রনালয়ের চিঠি লাগবে? তাহলে বেতন দিবে। আমার প্রশ্ন হলো একই চিঠি দিয়ে ঢাকার বাহিরের শিক্ষকদের আগষ্ট মাসের বেতন হয় আর আমাদের হয় না।
পরিশেষে স্যার বললো অর্থ মন্রনালয়ের সেই চিঠিও ইস্যু হয়ে গেছে আপনারা বেতন পেয়ে যাবেন।
শেষ বিকেলে জনাব ইন্দু ভূষন (ডিডি)স্যারের আন্তরিকতা, পরম স্নেহ ভালবাসা আমাকে মুগ্ধ করেছে।

Monday, January 1, 2018

জাতিয় বই উৎসব

জাতিয় বই উৎসব

জাতিয় বই উৎসব 
=নতুন বছরের প্রথমদিন নতুন অভিজ্ঞতা দিয়েই শুরু-আজ মিরাকান্দী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বই বিতরন উৎসব অনুষ্টিত হয়। উক্ত অনুষ্টানে সভাপতিত্ব করেন জনাবা সালমা আক্তার (ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক)। অতিথিবৃন্দ হিসেবে উপস্থিত ও বক্তব্য রাখেন, জনাব মোঃ সাইমন হাসান বিপ্লব উপজেলা মৎস কর্মকর্তা,বাজিতপুর। জনাব মোঃ জাফর ইকবাল জুয়েল চেয়ারম্যান, পিরিজপুর ইউনিয়ন পরিষদ। জনাব মোঃ ইসমাইল হোসেন প্রতিষ্টাতা, উত্তর পিরিজপুর বিএম কলেজ। জনাব মোঃ ফুল মিয়া মেম্বার ৪নং ওয়ার্ড। জনাব মোঃ আঃ হাই, সাবেক প্রধান শিক্ষক অত্র বিদ্যালয়। এছাড়াও অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা, এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ, অভিবাবক,ছাত্রছাত্রী উপস্থিত ছিলেন। উক্ত বই বিতরন অনুষ্টানে সঞ্চালনকারী হিসাবে ছিলাম আমি মোঃ সোহরাওয়ার্দী মাসুম ।

Thursday, December 14, 2017

মাদক ও তামাক জাত দ্রব্য পরিহার করুন, এটা আমাদের প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্য বার্তা

মাদক ও তামাক জাত দ্রব্য পরিহার করুন, এটা আমাদের প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্য বার্তা

সাইফুল ইসলাম

মাদক ও তামাক জাত দ্রব্য পরিহার করুন, এটা আমাদের প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্য বার্তা।।। 
কিন্তু আমাদের অনেক সিসিতে রোগি যায় Benzoic Acid ointment আনতে জর্দা/ হাকিমপুরির ডিবি / বাটি নিয়ে। আমরা অনেকে এগুলোর পিক উটাইয়া এড দিয়ে থাকি। কিন্তু আমরা চিন্তায় আনি না / রোগিকে তামাকদ্রব্য পানাহারের ক্ষতিকারক দিক কাউন্সিলিং করি না বিধায় রোগিরা জর্দার ডিবি নিয়া সিসিতে আসে। একটা সিসিতে দেখলাম গ্লাসের সকেইছে সুন্দর করে শুধু জর্দার ডিবি ৪০-৫০ টি রাখা। স্বাস্থ্য বিভাগের পরিদর্শক এসে জিজ্ঞেস করলেন সিসিতে কি জর্দার ব্যবসা হয়। সহকর্মী সিএইচসিপির উত্তর.. সিসিতে মলম শেষ হয়েছে তাই রোগিদের জর্দার ডিবি গুলো রেখে দেই মলম আসলে দিবো। পরে পরিদর্শকের বক্তব্যে সে শুধরে নেয়। তাই ময়লা যুক্ত পলিথিন, জর্দার ডিবি এগুলোতে রোগ জিবানু বাড়তে পারে এমনটিতে Benzoic Acid ointment দেওয়া হতে আমরা বিরত থাকি।
লক্ষ্য যেহেতু স্থির, আজ হয়তো হয়নি, বিজয় একদিন না একদিন আসবেই। হেলাল উদ্দিন রাজ

লক্ষ্য যেহেতু স্থির, আজ হয়তো হয়নি, বিজয় একদিন না একদিন আসবেই। হেলাল উদ্দিন রাজ

হেলাল উদ্দিন রাজ

মহাখালী থেকে তেজগাঁও-মগবাজার-কাকরাইল-শান্তিনগর হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পর্যন্ত যতটুকু পথ আমরা পায়ে হেঁটেছি, নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের আর কোন পেশাজীবী সংগঠনের ইতিহাসে এরকম পদযাত্রার নজির দ্বিতীয়টি নেই। ঢাকা শহরের রাজপথের প্রতিটি মানুষ আমাদের দাবী সম্পর্কে জেনেছে। আমাদের শ্লোগানে মুখরিত হয়েছে ঢাকার রাজপথ। প্রশাসনের সব লেভেল আমাদের সম্পর্কে জেনেছে। আমাদের মহিলা সহকর্মীদের প্রাণোচ্ছল শ্লোগানগুলো এখনো কানে বাজছে। সত্যিকারের রাজপথের আন্দোলন শিখে গেছি আমরা।
...........................
লক্ষ্য যেহেতু স্থির, আজ হয়তো হয়নি, বিজয় একদিন না একদিন আসবেই।
...........................
আমরা করবো জয়।

Tuesday, December 12, 2017

 সরকারের অনেক মহামান্য নীতি নির্ধারক ব্যক্তিবর্গের সিদ্ধান্তে সিএইচসিপি পদ সৃষ্টি

সরকারের অনেক মহামান্য নীতি নির্ধারক ব্যক্তিবর্গের সিদ্ধান্তে সিএইচসিপি পদ সৃষ্টি


 Hussain Md Al Imran

 
ট্রাম্প সাহেব জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী করাকে সমর্থন করেছেন।

ট্রাম্প সাহেব জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী করাকে সমর্থন করেছেন।


ট্রাম্প সাহেব জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী করাকে সমর্থন করেছেন। এ নিয়ে মুসলিম জনগোষ্ঠীর ভিতরে উত্তেজনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। অনেক দল কিছু একটা করা দরকার মনে করে রাস্তা দিয়ে দল বল নিয়ে ঘুরে আসার মত কর্মসূচি দিয়ে একেই জেহাদ বলে আত্মতৃপ্তি পেতে চাইছে। এ প্রসঙ্গে আমার কথা হচ্ছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারণ করার জন্য মুসলমানদেরকে কয়েকটি বিষয় ঠাণ্ডা মাথায় ভাবতে হবে।

.
১. তারা আজকের এই অবস্থায় কী করে আসলো? একটি সময়ে তারা তো জ্ঞানে বিজ্ঞানে সামরিক শক্তিতে এমন অবস্থানে ছিল যে বাকি পৃথিবী তাদের দিকে সভয় সম্ভ্রমসহ চেয়ে থাকত। আজকে সেই তারা কেন পৃথিবীর সকল জাতি দ্বারা সর্বত্র লাঞ্ছিত। তাদের দেশগুলো বোমার আঘাতে লণ্ডভণ্ড। তাদের সাড়ে ছয় কোটি মানুষ উদ্বাস্তু। তাদের নারীরা ইজ্জতহারা।
.
৩. তারা তো এক জাতি ছিল, একটা নির্দেশনা ছিল, তাদের একটি লক্ষ্য ছিল। আজকে তারা নিজেরা নিজেরা কী কারণে হাজারো তরিকা, ফেরকা মাজহাব, দলাদলি করে মারামারিতে ব্যস্ত। 
.
এই যখন মুসলমানদের অবস্থা তখন শুধু জেরুজালেম নয় খোদ পবিত্র মক্কা মদীনাও যদি তারা দখল করে নেয় (পরোক্ষভাবে তারাই নিয়ন্ত্রণ করছে) তাহলে সেটা ঠেকানোর বিন্দুমাত্র মুরোদ এই শতধাবিচ্ছিন্ন, বিক্ষিপ্ত জনগোষ্ঠীর আছে বলে অন্তত আমি মনে করি না। 
.
যদি কার্যকর কিছু কোনো দিন করতে চান তাহলে দলাদলি ফেরকা মাজহাব ভুলে আগে ঐক্যবদ্ধ হন। সমস্ত সামরিক শক্তি, অর্থনৈতিক শক্তি এখন ট্রাম্প তথা পশ্চিমা প্রভুদের হাতে। এই মুসলিমরাও গত কয়েকশত বছর আল্লাহর দেওয়া জীবনব্যবস্থা বাদ দিয়ে ঐ পশ্চিমা প্রভুদেরই পদলেহন করছে। 
.
এমতাবস্থায় জেরুজালেম বা এ জাতীয় কোনো ইস্যু নিয়ে মাদ্রাসার লোকজন কথিত তওহীদী জনতার নামে যতই বিক্ষোভ, মিছিল, হাঙ্গামা করা, কুশপুত্তলিকা দাহ, দূতাবাস ঘেরাও করে কোনো লাভ হবে না। অসারের তর্জন গর্জনই সার হবে।

Sunday, December 10, 2017

সেলফোন এবং অপব্যবহার

সেলফোন এবং অপব্যবহার


প্রফেসর ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত : সাড়ে তিনশ’ বছর যাবৎ বৈজ্ঞানিক গবেষণার অগ্রযাত্রা অবিরাম গতিতে বেড়েই চলেছে। অনন্যসাধারণ আবিষ্কার মানুষকে যেমন চূড়ান্ত উচ্চতায় নিয়ে গেছে, সভ্যতাকে দিয়েছে তেমনি এক অনবদ্য রূপ। প্রস্তর যুগ বা আদি যুগ থেকে আমরা আজ কোথায় এসে পৌঁছেছি তা যেমন বিস্ময়কর, তেমনি কল্পনাতীত। আমরা যদি চিন্তা করি ট্রাইলোবাইটস, ডাইনোসরসহ বিভিন্ন প্রজাতির বিলুপ্তির কথা; একই সঙ্গে পৃথিবী থেকে প্রাচীন অনেক ফলজ এবং ঔষধি বৃক্ষের বিলুপ্তির কথা; তাহলে অবশ্যই আমাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে, মানব জাতি বা মানুষের বিলুপ্তি কি হঠাৎ করে ঘটে যাবে না? বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের ফলে পৃথিবী যেমন গতি পেয়েছে, তেমনি পরিবেশ দূষণ বিভিন্ন জীব ও উদ্ভিদের বাঁচার জন্য অসহনীয় হয়ে উঠেছে। এক পর্যায়ে তারা হয়তো জীবনীশক্তি হারিয়ে ফেলবে। কার্লমার্কসের সূত্রানুযায়ী উন্নতির একটা চরম ধাপ আছে, সেই শেষ সীমায় পৌঁছার পর অধোগতি অবশ্যম্ভাবী। এটাই হলো প্রকৃতির নিয়ম। হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, প্রাচুর্য-দরিদ্রতা ইত্যাদি একে অন্যের সঙ্গে জড়িত। আজকের এ প্রবন্ধে যে আবিষ্কার নিয়ে কথা বলতে চাই, তা হলো যোগাযোগ মাধ্যম। শুধু বৈপ্লবিক নয়, অতিবৈপ্লবিক পরিবর্তন এখানে হয়ে গেছে। যোগাযোগ বলতে বাস, ট্রাক, রেল, বিমান বা রকেটের যোগাযোগ আমি বুঝাতে চাচ্ছি না। বলতে চাই টেলি যোগাযোগের বিষয়ে।
১৯৮০ সালের কথা। মস্কো অলিম্পিকের সময় বাইরের শহরগুলো থেকে বিদেশীদের মস্কো যাওয়ার ভিসা ছিল বন্ধ। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়নে বিদেশী ছেলেদের এক শহর থেকে অন্য শহরে যেতে ভিসা বা ডীন অফিসের অনুমতি নিতে হতো। ১৯৭৯ সালের জুন মাসে বিয়ে করে ৮০ সালের জানুয়ারীতে অদেসা চলে  আসি এমএসসি ও পিএইচডি স্কলারশিপ নিয়ে। অলিম্পিক চলাকালে যোগাযোগ অর্থাৎ টেলি যোগাযোগের অগ্রগতির সুযোগ নিয়ে চট্টগ্রামে অবস্থানরত প্রিয়তমার সঙ্গে কথা বলার জন্য এক রবিবার সকাল ৮টায় সমুদ্রবন্দর অদেসার টেলিফোনের প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে একটা কল বুক করি। না খেয়ে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে যেটুকু সুযোগ পেলাম, অদেসা-মস্কো, মস্কো-লন্ডন, লন্ডন-ঢাকা সংযোগ দেওয়া সম্ভব, কিন্তু ঢাকা-চট্টগ্রাম লাইন সংযোগ হচ্ছে না। সাংঘাতিক মন খারাপ করে হোস্টেলে চলে যাব। যখন ফিরে আসব তখন যে বয়স্ক ভদ্রমহিলা কলটা বুক করেছিলেন, তিনি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে একটি উপদেশ দিলেন। বললেন, অলিম্পিকের পরে মস্কো টেলিফোন অফিসে গিয়ে কল বুক করলে অবশ্যই আমি কথা বলতে পারব। যথারীতি সেভাবে ডীন অফিসের অনুমতি নিয়ে ২২ ঘণ্টা ট্রেনে চড়ে মস্কো এসে সরাসরি টেলিফোন অফিসে গিয়ে কল বুক করে ৮ ঘণ্টা অপেক্ষার পর একই জবাব ঢাকা-চট্টগ্রাম সংযোগ দেওয়া সম্ভব নয়। বিষন্ন মনে পুনরায় ২২ ঘণ্টা ট্রেন ভ্রমণ শেষে অদেসায়। কিন্তু বিজ্ঞানের অনবদ্য আবিষ্কারের ফলে আজ টেলিযোগাযোগ কী অসম্ভব অগ্রগতি সাধন করেছে। উন্নয়নশীল বা অনুন্নত দেশ থেকে পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে আপনি কথা বলতে পারেন। এমনকি বিনাশ্রমে প্রিয় ব্যক্তি বা সন্তানের ছবিও দেখতে পারেন।
বিজ্ঞানের অপব্যবহার ধরুন টেলিফোনের কথা অর্থাৎ মোবাইলের কথা। ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক রেডিয়েশনের কথা। ১৯৪৫ সালের ৬ই আগস্ট সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে হিরোশিমায় যে আণবিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটেছিল, সেখানে তাৎক্ষণিক সর্বোচ্চ কল্পনাতীত তাপমাত্রার সৃষ্টি ছাড়াও অদ্যাবধি তেজস্ক্রিয়তার কিছু রেশ রয়ে গেছে। সেটা একবার ঘটেছিল। অথচ মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন একটা ক্রনিক পদ্ধতি যা সবাইকে কুরে কুরে খাচ্ছে। এ ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিপ্লোম্যাটিক বক্তব্য দায়িত্ব এড়ানোর শামিল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বক্তব্য : ‘Serious health effects like cancer are unlikely from mobile phones and their base stationsÕ Based upon the consensus view of medical and scientific communities. (চিকিৎসক ও বিজ্ঞানী সমাজের ঐক্যবদ্ধ মতামত অনুযায়ী মোবাইল ফোন এবং এর মূল কেন্দ্রগুলি থেকে অনাকাংখিতভাবে মানুষের স্বাস্থ্যের উপর ক্যান্সারের ন্যায় বিপদজনক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়ে থাকে)।
এ পি জে আবদুল কালামের ভাষায়, Technology is meant to simplify our lives, but excessive dependence on it has complicated our lives. অর্থাৎ প্রযুক্তির আবিষ্কার এবং ব্যবহার হওয়া উচিত ছিল আমাদের জীবনযাত্রাকে সহজ করার জন্য, কিন্তু প্রযুক্তির ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা আমাদের জীবনকে জটিল করে তুলেছে’। শুধু তাই নয়, আমার কাছে মনে হচ্ছে প্রযুক্তি হলো দুই দিকে ধারালো এক তলোয়ার। যার অতিমাত্রায় ব্যবহার এবং অপব্যবহার দুই দিকে ধারালো অস্ত্রের মতোই বিপর্যয় টেনে আনতে পারে।
শুরুতেই ধরি রিং টোনের কথা। প্রত্যেকেই তার রুচিসম্মত অদ্ভূত রিং টোন বা গান বা আজান বা কোরআন তেলাওয়াত সংযুক্ত করেন। কেউ কেউ জাতীয় সংগীত দিতে ভুল করেন না। নিজের কাছে রুচিসম্মত হ’লেও অনেকের কাছেই তা রুচিবিবর্জিত। তা ছাড়া কোনো জরুরী সভায়, নিমন্ত্রণে, ডাক্তারের চেম্বারে প্রবেশ করার সময় সাধারণত ভদ্রতার খাতিরে হলেও Silent Mode-এ রাখা উচিত। তাও অনেকেই করেন না।
আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল ১৮৭৬ সালের ১০ই মার্চ প্রথম যে টেলিফোনে তার বন্ধু থমাস ওয়াটসনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন, যার বাণিজ্যিক রূপ লাভ ও অনন্য আবিষ্কার বিবেচনায় তিনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। আজ যদিও তা সেকেলে, কিন্তু মূল ভিত্তি ওটাই। সত্যিকার অর্থে মোবাইল প্রথম বাজারজাত করা হয় নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকে, যা যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটিয়ে দেয়, যেটা সত্যিই মোবাইল (বহনযোগ্য) এবং কম দামী প্রয়োজনীয় মাধ্যম এবং যা জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত হয়ে গেছে। বাংলাদেশে আনুমানিক ১২ কোটির মতো সিম বাজারজাত করা হয়েছে, যেহেতু কেউ একাধিক সিম ব্যবহার করেন, সে ক্ষেত্রে ১১ কোটি লোক যদি সেলফোন ব্যবহার করে থাকেন, তাহ’লে ১৬ বছরের নিচের শিশুরাও কমপক্ষে ২ কোটি নিয়মিত সেলফোন ব্যবহার করছে। তাছাড়া এখন বাচ্চাদের খাওয়ানোর সময় টেলিভিশনের পরিবর্তে সেলফোনের বিভিন্ন প্রোগ্রাম দেখিয়ে খাওয়ানো হয়। সে ক্ষেত্রে শুধু ইলেকট্রো-ম্যাগনেটিক রেডিয়েশন নয়, এত ক্ষুদ্র পর্দায় দেখার জন্য চোখের Accommodation-এর সমস্যা হয়। সাধারণত বিজ্ঞানীদের মতে, ১৬ বছরের নিচে কারও সেলফোন ব্যবহার করা উচিত নয়।
সাধারণত একটি কল রিসিভ করলে ২০ সেকেন্ডের বেশী কথা না বলাই শ্রেয়। যদি ৩ মিনিট কথা বলা হয় তাহ’লে পরবর্তী ২০ মিনিট সেলফোন ব্যবহার না করা উচিত। মনে রাখতে হবে, ২০ মিনিটের অধিক সময় কথা বললে মস্তিষ্কের তাপমাত্রা ১০২ডিগ্রি F-এর ওপরে উঠে যায়, যা মস্তিষ্কের স্নায়ুকোষে কম্পনের সৃষ্টি করে। রেডিয়েশনের ধরন সাধারণত Non Ionizing Ges Ionizing radiation সাধারণত চিকিৎসা শাস্ত্রে ব্যবহৃত হয়, চিকিৎসা ও রোগ নিরূপণের জন্য। বিদ্যুৎবাহী তার, রাডার, বিদ্যুৎ চালিত যোগাযোগ যানবাহন, কম্পিউটার, বেইস স্টেশন ও সেলফোনে ব্যবহৃত হয় Non Ionizing radiation. মোবাইল ফোনের ভয়াবহতা হলো, বেইস স্টেশন, রিসিভার এবং মোবাইল সুইচ সেন্টার সব জায়গা থেকেই রেডিয়েশন নির্গমন হয়।
সাধারণত মোবাইল ফোন ব্যবহারে ক্লান্তি বা অবসাদ, মাথাব্যথা, নিদ্রাহীনতা, স্মরণশক্তি হ্রাস, কানে শোঁ শোঁ বা ভোঁ ভোঁ করা, জয়েন্ট ব্যথা অর্থাৎ কব্জি, কাঁধ, কনুই সর্বোপরি কানের শুনানিরও যথেষ্ট ক্ষতি করে। মোবাইল ফোন শুধু বিমানে নিষিদ্ধ, হাসপাতালের যেসব জায়গায় ইলেকট্রো মেডিকেল যন্ত্র ব্যবহৃত হয়, সেসব জায়গায় অর্থাৎ অপারেশন থিয়েটার আইসিইউ, সিসিইউ এমনকি যে রোগীর শরীরে পেসমেকারের মতো ডিভাইস বসানো আছে, সেখানেও নিষিদ্ধ। যানবাহন চলমান অবস্থায়, চালকের জন্য মোবাইল ব্যবহার দন্ডনীয় অপরাধ।
আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা গেছে, গাড়ির দুর্ঘটনা বর্তমানে চার গুণ বেশী হয়েছে শুধু চালকের চলমান অবস্থায় মোবাইল ব্যবহারের কারণে। সর্বোপরি মস্তিষ্কে কোকেনের মতোই আসক্তি সৃষ্টি করে ফেসবুক। 
সর্বশেষ জেনে রাখা ভালো, ১. ফোনে কথা বলার সময় একাধারে ৩ মিনিটের বেশী কথা না বলে অন্ততঃ ১৫ মিনিট বিরতি দিয়ে কথা বলা। ২. রেডিয়েশন কমাতে সরাসরি হ্যান্ডসেটের পরিবর্তে হেডফোন বা হেডসেট ব্যবহার না করা। ৩. মোবাইল ফোন চার্জে লাগানো অবস্থায় কথা না বলা। ৪. শিশুদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন দূরে রাখা। ৫. রাস্তা পারাপারের সময় মোবাইল ফোনে কথা না বলা। ৬. হাতের কাছে ল্যান্ডফোন থাকলে মোবাইল ফোন ব্যবহার না করা। ৭. আইসিইউ এবং ওটিতে মোবাইল ফোন ব্যবহার না করা। ৮. যত্রতত্র অ্যান্টেনা ব্যবহারের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা। ৯. মোবাইল ফোন সেটের উৎপাদনকারী কর্তৃপক্ষের উচিত Specific Absorption Rate (SAR) উল্লেখ করা, যাতে গ্রাহকরা তা দেখে রেডিয়েশনের মাত্রা সম্পর্কে জানতে পারেন।
আবার সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের কিছু ব্যাপার বিজ্ঞানের অধোগতির কারণ হিসাবে দাঁড়াতে পারে। এটা ধরে নেওয়া যায়, বিজ্ঞান যদি এক্সপ্লোসিভ বা বিস্ফোরক শক্তি উৎপাদন করতেই থাকে তবে আজ হোক, কাল হোক বিজ্ঞান বিকশিত হ’তে পারে এমন সমাজ টিকিয়ে রাখা অসম্ভব হয়ে পড়বে। এ বিষয়টি বড় আকারের এবং ভিন্ন আঙ্গিকের। ফলে এর সুদৃঢ় উত্তর দেওয়া অত্যন্ত কঠিন। তবে প্রশ্নটি অত্যন্ত গুরুত্ববহ বলে এর জবাব খোঁজা প্রয়োজন।
এ বিপদ অনেক দূরবর্তী কিছু নয়; কয়েক বছরের মধ্যেই তা হুমকি হয়ে দেখা দেবে। কিন্তু সেসব কিছু নিয়ে আমি মোটেই চিন্তিত নই। আমি আরও বড় ব্যাপার নিয়ে ভাবছি। এমনকি কোন সমাজ হ’তে পারে, যা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত হ’লেও সে স্থিরতা পাবে, যা অতীতে অনেক সমাজে বিদ্যমান ছিল? নাকি আত্মঘাতী বিস্ফোরক তৈরী করাই এদের অমোঘ নিয়তি? এ প্রশ্নগুলো আমাদের বিজ্ঞানের জগতের বাইরে নিয়ে আসে ন্যায়, আদর্শ, নৈতিকতা ও বৃহত্তর জনমানুষের মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ চিন্তা করে। (সূত্র : বিজ্ঞানই অপবিজ্ঞানের প্রতিষেধক, বার্ট্রান্ড রাসেল; রতন তনু ঘোষ সম্পাদিত)। মহাত্মা গান্ধীর ভাষায় সাতটি মৃত্যুসম পাপের একটি হলো Science without humanity (মানবতা বিবর্জিত বিজ্ঞান)। যোগাযোগ বিপ্লবে মোবাইল ফোনের আবিষ্কার মানবিকতা বিবর্জিত নয়। কিন্তু মোবাইলের অপব্যবহার এত বেড়ে গেলে যেমন ট্র্যাপ করা, মিথ্যা ফেসবুক আইডি খোলা, প্রতারণা করা, হুমকি-ধমকি দেওয়া এসবই মানব সভ্যতাকে যেমন অভিশপ্ত করেছে, মোবাইলকেও অভিশপ্ত করেছে।
আলফ্রেড নোবেল ডিনামাইট আবিষ্কার করেছিলেন মাটির নিচে সম্পদ অনুসন্ধান করার জন্য, নিমিষের মধ্যে পুরনো দালান বা ব্রিজ ধ্বংস করার জন্য। তিনি যখন দেখলেন ডিনামাইট দিয়ে মানব সভ্যতা ও মানবতা ধ্বংস হচ্ছে, তখন তার উইল অনুযায়ী নোবেল পুরস্কারের সূচনা হলো। ফ্রেডরিক নোবেল একজন প্রকৌশলী, রসায়নবিদ এমনকি ধনাঢ্য ব্যবসায়ী ইমানুয়েল নোবেলের ছেলে হয়ে, মানবতার জন্য বিজ্ঞান, সমাজের জন্য অর্থনীতি, মানুষের জন্য সাহিত্য এবং শান্তির জন্যই বিশ্ব, বিবেচনায় এনে সব সম্পদের বিনিময়ে নোবেল প্রাইজ দিয়ে গেলেন। তার স্বপ্ন কি বাস্তবায়ন হবে?
লেখক : সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর, বিএসএমএমইউ, ঢাকা।
 ভর্তি পরীক্ষা শুরু ইবিতে

ভর্তি পরীক্ষা শুরু ইবিতে


কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শুরু হয়েছে।
পরীক্ষায় প্রযুক্তিগত জালিয়াতি রোধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, সকাল ৯টা থেকে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়। ভর্তি পরীক্ষার প্রথম দিনে মোট চার শিফটে বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত 'ই' ও 'এফ' ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
ই ইউনিটে দুইশত আসনের বিপরীতে ১৩ হাজার ২৬ জন এবং এফ ইউনিটে একশত আসনের বিপরীতে তিন হাজার ৭৭৪ জন আবেদন করেন। ই ইউনিটে প্রায় ৭০ শতাংশ ও এফ ইউনিটে ৭৫ শতাংশ ভর্তিচ্ছু পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পরিদর্শকরা।
পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রসমূহ পরিদর্শন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসরকারী। এসময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা, ভারপ্রাপ্ত রেজিষ্ট্রার এস এম আব্দুল লতিফ প্রমূখ সাথে ছিলেন।
পরিদর্শন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক হারুন ইর রশিদ আসকারী সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেশে চলমান সকল প্রকার প্রযুক্তিগত জালিয়াতি রোধে আমরা সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আশা করছি প্রথম দিনের মতই প্রতিটি দিন আমরা সম্পূর্ণ জালিয়াতিমুক্ত পরীক্ষা নিতে পারবো।’
এদিকে পরীক্ষায় প্রযুক্তিগত জালিয়াতি রোধে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের সময় ভর্তিচ্ছুদের আর্চ ওয়েগেট দিয়ে তল্লাশি করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে মোট চার জায়গায় আর্চ ওয়েগেট বসানো হয়েছে। এছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের সময় শিক্ষার্থীদের শরীর মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করা হয়। পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন বা টেলিযোগাযোগ করা যায় এমন সব ধরনের ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ভর্তি পরীক্ষার দ্বিতীয় দিন শনিবার তিনটি শিফটেই ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদভুক্ত ডি ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষার ফলসহ সকল তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটে (www.iu.ac.bd) পাওয়া যাবে। 

Saturday, December 9, 2017

ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ। আমি সত্যিই গর্বিত যে আমি সিএইচসিপি পরিবারের একজন।

ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ। আমি সত্যিই গর্বিত যে আমি সিএইচসিপি পরিবারের একজন।

ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ। আমি সত্যিই গর্বিত যে আমি সিএইচসিপি পরিবারের একজন।গতকাল নিবন্ধন পরিক্ষা দিতে ময়মনসিংহ শহরে আসলাম।আসার পূর্বে কিশোরগঞ্জ জেলা সিএইচসিপি এসোসিয়েশনের সংগ্রামি সভাপতি প্রিয় বড় ভাই মালেক ভাইয়ের কাছ থেকে কন্টাক্ট নাম্বারটা নিয়ে শুধু বলেছিলাম আপনাদের শহরে আসছি। আর তাতেই যত সব বিপত্তি। ময়মনসিংহ শহরে পৌছতে না পৌছতেই কয়েক বার ফোন দিলেন এসে পৌছলাম কি না? যখন শহরে গিয়ে পৌছলাম তখন ছুটে আসলেন দেখা করতে। প্রথম দেখা, পরিচয়, চিনতে ততটা সমস্যা হয়নি মোবাইলের কল্যানে।তারপর নিয়ে গেলেন বাসায়, রাতের খাবার ও থাকার ব্যাবস্থা করলেন।তারপর দোকানে গিয়ে চা খেলাম, সিএইচসিপিদের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করলাম।রাতে অনেকক্ষণ আড্ডা দিলাম ।একজন মানুষ প্রথমদিনের পরিচয়েই এতটা মিশুক ও অতিথি পরায়ন হতে পারে তা মনে হয় সিএইচসিপি ব্যতীত সম্বব নয়।এতোক্ষন যার কথা লিখছি, তিনি অন্য গ্রহের কেউ নয়, তিনি সিএইচসিপি পরিবারের সদস্য, ময়মনসিংহ জেলা ও বিভাগের পরিচিত মুখ, অন্যতম নেতা জনাব রাহাত ভাই।অন্তরের কুঠির থেকে রাহাত ভাইকে অনেক ধন্যবাদ ।আসলে ধন্যবাদ দিয়ে শেষ করা যাবে না উনি যে আতিথেয়তা দেখিয়েছেন তা কখনো ভুলার নয়। আর যার কথা না বললেই নয় জনাব মালেক ভাই যিনি আমাকে রাহাত ভাইয়ের কন্ট্রাক্ট নাম্বার পেতে সহায়তা করেছেন, অনেক ধন্যবাদ জনাব মালেক ভাই ও রাহাত ভাইয়ের প্রতি। প্রিয় সিএইচসিপি ভাইদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। অনেক ভালো থাকুন আপনারা........ভালো থাকুক প্রত্যেকটা সিএইচসিপি