Saturday, December 9, 2017

একটি বিষয় দেখার কেহ নাই।

শাপলা

ধন্যবাদ স্যার। একটি বিষয় দেখার কেহ নাই। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্ণধার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মহোদয়। স্যার ডান পাশ্বে থাকেন স্বাস্থ্য সহকারি থেকে প্রমোশন প্রাপ্ত স্বাস্থ্য পরিদর্শক ইনচার্জ, বাম পাশ্বে থাকেন স্বাস্থ্য সহকারি থেকে প্রমোশন প্রাপ্ত এমটি (ইপিআই) এবং মাঝখানে থাকেন স্বাস্থ্য সহকারি থেকে প্রমোশন প্রাপ্ত এমটি (এসআই)। তাহলে প্রশ্ন থেকেই যায় কারা চান না, তাদের কর্মীরা কাজ করুক, সকলেই নিজেদের কর্মীদের কাজ না করার উৎসাহ ও সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকেন, যা এক ধরনের প্রহশন। উনারা সব সময় নিজেদের স্বাস্থ্য সহকারিদের সুযোগ সুবিধা দিয়ে কাজ না করার প্রক্রিয়া তৈরি করেন, কিন্তু কমিউনিটি ক্লিনিকে সিএইচসিপিকেই সকল কাজ করতে যথেষ্ট পরিমান চাঁপ প্রয়োগ ও সরকারি কোন সুযোগ সুবিধাতো নাই বরংচ সাধারন ছুটিটুকুও দিতে চান না। যেখানে কমিউনিটির স্বাস্থ্য সেবা সকলের সমন্বয়ে সম্পাদন করার কথা, কিন্তু সকলেই সিএইচসিপিকে চাঁপ দিয়ে থাকে। মানণীয় সিভিল সার্জন কার্যালয়েও একই অবস্থা, স্যারের ডানে বায়ে ও মাঝখানে স্বাস্থ্য সহকারি থেকেই প্রমোশন প্রাপ্ত। স্বাস্থ্য বিভাগটি যদি পুরোটাই উনাদের দখলে থাকে তাহলে আমরা সিএইচসিপিরা কিভাবে কাজ করব, সিএইচসিপিদের কাজে সমন্বয় ও সহযোগীতার কথা বলা থাকলেও তা না করে উলটো সিএইচসিপিকে মানসিক চাঁপ, কাজের ক্ষেত্রে প্রতি পদে পদে হয়রানী ছাড়া আর কোন কিছুই করে না। এটা চরম বৈষম্য নয় কি? অথচ কমিউনিটির সকল কাজ সিএইচসিপি একাই সম্পাদন করেন, সুবিধা ভোগ করেন স্বাস্থ্য সহকারিগন। যেখানে কাজগুলি সমন্বয় ছাড়া সম্পাদন করা সম্ভব নয়, সিএইচসিপিরা প্রকল্পের কর্মচারী বলে এক প্রকার জোর করে ১২-১৪ জনের কাজ করানো হয়। সবার জন্যই সমান সুযোগ সুবিধা থাকতে হবে। নিজেদের কর্মী বলে তারা কাজ করবে না বা মাঠে গুরুত্বপূর্ণ কাজ দেখিয়ে বাড়িতে হাটে বাজারে ব্যবসা বানিজ্য করবে তা তো হতে পারে না। কমিউনিটির আওতায় সকলেই কমিউনিটির মাধ্যমেই সকল কাজ সম্পাদন সমন্বিত ভাবে করা উচিত।

শেয়ার করুন

0 comments: