আন্দোলন বা সংগ্রামে মানুষ তখনই নামে যখন তার বেঁচে থাকা বা টিকে থাকা কঠিন হয়, যখন দেয়ালে তার পিঠ ঠেকে যায়, যখন তার আর কিছুই করার থাকেনা। অর্থাৎ জীবন মরনের সন্ধি খনে। আর সেই রকম একটা অবস্হায় বাংলাদেশের হতদরিদ্রদের ডাঃ বলে খ্যাত সিএইচসিপি বৃন্দ। ২০১১ সালে সরকারী বিধি মোতাবেক নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে অদ্যবধি পর্যন্ত সরকারের বিভিন্ন আশায় আশান্বিত হয়ে কাজ করে যাচ্ছে একযাক তরুণ যুবক । কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হচ্ছে কোন অধিকারই বাস্তবায়ন হয়নি আজ অবধি। নিয়োগ বিঙ্গাপন যখন প্রথম হয় তখন আবেদনে ততটা সাড়া আসেনা । এর পর নিয়োগ শর্তে কিছুটা পরিবর্তন আনা হলে পরে আবেদনে বেশ সারা পায় সরকার । এর পর নিয়োগের সময় সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে সিএইচসিপি চাকুরিতে উৎসাহিত করণ করার মাধ্যমে বলা হয় সিএইচসিপিদের চাকুরী অতি দ্রূততম সময়ের মধ্যে রাজস্ব করণ করা হবে বা হয়ে যাবে। এই কথায় অতি উৎসাহিত হয়ে সিএইচসিপিরা প্রকল্প চাকুরিতে যোগদান করেন। যোগদানের পর নেত্রিবৃন্দদের, এমপিদের কথায় মনে হল এক বছরের মধ্যেই সিএইচসিপিদের চাকুরী জাতীয় করণ হয়ে যাবে। এর পর প্রকল্প পরিচালকও বিভিন্ন সময় জেলায় জেলায় মতবিনিময় করতে গিয়ে বলেছেন তোমাদের চাকুরী কিছুদিনের মধ্যেই রাজস্ব করণ করা হবে। এছাড়াও আমাদের প্রশিহ্মিত সিএইচসিপিরা যখন এর চেয়েও ভাল অবস্হার চাকুরিতে অন্যর্ত চলে যাচ্ছিল তখন কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবার মানের কথা চিন্তা করে এবং সিএইচসিপিপদ শূন্য হলে নতুন নিয়োগ এবং তাদের প্রশিহ্মন ইত্যাদি নানা সংকট দেখা দিলে ২০১৩ সালে তৎকালিন স্বাস্হ্য সচিব জনাব ডাঃ শাহনেওয়াজ স্যার সিএইচসিপিদের চাকুরী রাজস্ব করণ প্রক্রিয়াধীন এবং অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে জাতীয়করন করা হবে বলে অনুলিপির মাধ্যমে আস্বস্হ্য করেন। কিন্তু আজ অবধি সেটা বাস্তবায়ন করা হয়নি। এমন ভাবেও বলা হয়েছে সামনে নির্বাচন আপনারা আওয়ামীলীগকে নির্বাচিত করূন নির্বাচনের পর আপনাদের চাকুরী জাতীয় করণ করা হবে। কিন্তু তাও করা হয়নি। এছাড়াও সরকারের মহল থেকে বলা হয়েছিল আপনাদের ইনক্রিমেণ্ট দেয়া হবে, মৃত্যু দাবি দেয়া হবে। কিন্তু এর কোনটিরই বাস্তবায়ন সরকার করেনি। এখন সিএইচসিপিদের নির্ধারিত বেতন স্কেলে সংসার চলছেনা পহ্মান্তরে সরকারী চাকুরীতে আবেদনের বয়সও পার হয়ে গিয়েছে ৮০% জনের। এরপর সচিব মহুদয়ের আস্বাসের বাস্তবায়ন চেয়ে উচ্চতর আদালতে রিটপিটিশন দায়ের করা হয়। সেই রিটের রায়ও সিএইচসিপিদের পহ্মে এসেছে। এতে অতিদ্রূততম সময়ের মধ্যে রাজস্ব খাতে স্হান্তরের রায় দেয় মহামান্ন হাইকোর্ট । কিন্তু বর্তমানে যারা কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেছেন, সিএইচসিপিদের নিয়োগ দিয়েছেন। কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রষ্কারও জিতেছেন বর্তমান সরকার। এত কিছুর পরও সিএইচসিপিরা এখনও ওপেহ্মিত, অবহেলিত, নিপিড়িত, নিগ্রিহিত। কাজেই সিএইচসিপিদের দাবি আদায় করে নেয়ার এটাই মুখ্যম সময়। কেননা সরকারের এমপি/মন্ত্রিরা সময়ে সময়ে বিভিন্ন ভাবে চাকুরী জাতীয় করণের কথা বলে আস্বস্হ্য করলেও তারা অন্যদিকে মোড় নিয়েছেন। তাদের চাহিদা মনেহচ্ছে অন্যরকম। কেকার ধরনা ধরবে এই অবস্হা চলছে মনে হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্তা করে ভেঙ্গে দিতেচেয়েছিল তাদের দুচারজনা মনে হয় এখনও রয়েগিয়েছে। এটা কেউ হয়ত বুঝতে পারে আবার হয়তবা কেউ বুঝেনা। যাই হোক সিএইচসিপিদের আর কোন উপায় নেই। এবার কঠোর থেকে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমেই রাজস্ব করণের দাবি আদায় করে নিতে হবে। এছাড়া কোন গতিনেই। তাই বলতে চাই - লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই। লড়াই হবে সেখানে বাঁধা পাব যেখানে। পরিশেষে সকলের প্রতি রইল আমার সংগ্রামী সালাম । ধন্যবাদ।
খবর বিভাগঃ
আন্দোলন
0 comments: